সুনামগঞ্জ , বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ , ৮ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
আর্থসামাজিক ব্যবস্থাটাই বদলে দিন ২৫২ এসআই’কে অব্যাহতি রাজনৈতিক কারণে নয় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা নভেম্বরের শুরুতে লন্ডন যেতে পারেন খালেদা জিয়া খালেদা জিয়ার নাইকো মামলায় আরও ৩ জনের সাক্ষ্য ব্যারিস্টার সুমন ৫ দিনের রিমান্ডে মধ্যনগরে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার শহীদ সোহাগ মিয়ার পরিবারের পাশে বন্ধুসভা রাস্তায় জমে থাকে ড্রেনের নোংরা পানি: চরম ভোগান্তিতে মানুষ শহরে মুদি দোকানে চুরি বালু-পাথরখেকোদের প্রতিরোধ করুন সীমান্তে উত্তেজনা প্রশমনে একমত ভারত-চীন রাষ্ট্রপতির বিষয়ে ছাত্রসমাজই নির্ধারক, জাপা বিবেকহীন : সারজিস আলম দীর্ঘদিন পর দেশে ফিরছেন যুক্তরাজ্য বিএনপি’র নেতারা যৌথবাহিনীর অভিযানে বিস্ফোরক উদ্ধার চলতি বছরে ডেঙ্গু রোগী ৫০ হাজার ছাড়াল, মৃত্যু ২৫০ ২০২৫ সালের যত সরকারি ছুটি জামালগঞ্জে ভারতীয় বিড়ি ও চিনি জব্দ সাবেক মন্ত্রী ইমরান আহমদ ৩ দিনের রিমান্ডে আগাম জামিন পেলেন জেড আই খান পান্না মীমাংসিত বিষয়ে বিতর্ক সৃষ্টি না করার আহ্বান রাষ্ট্রপতির

আর্থসামাজিক ব্যবস্থা বদলাতে না পারলে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো যাবে না

  • আপলোড সময় : ১৯-১০-২০২৪ ০৯:০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৯-১০-২০২৪ ০৯:০৫:৫৪ পূর্বাহ্ন
আর্থসামাজিক ব্যবস্থা বদলাতে না পারলে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো যাবে না
আর্থসামাজিক ব্যবস্থা বদলাতে না পারলে পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ঠেকানো যাবে না গতকালের (শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪) দৈনিক কালের কণ্ঠের একটি সংবাদ শিরোনাম ছিল, ‘ডিসিসিআইয়ের গবেষণা : উৎপাদক থেকে ভোক্তার কাছে যেতে চিকন চালের দাম বাড়ছে ৪০৪%’। তৎপরে সংবাদবিবরণীতে যা বলা হয়েছে তার মর্মার্থ অত্যন্ত ভয়াবহ, যে-ভয়াবহতাকে নিয়ে আমরা বাংলাদেশের সাধারণ মানুষেরা নির্ভয়ে বসবাস করছি। নির্ভয়ে বলছি এ জন্য যে, এই ভয়াবহতার বিরুদ্ধে কোথাও উত্থান ঘটছে না, ইতিহাস বলে, যদিও প্রতিটি স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দেশের মানুষ দ্রোহে উত্থিত হয়েছে, অভ্যুত্থান করেছে। কিন্তু দ্রব্যমূল্যের আঙ্গুল থেকে কলাগাছ হয়ে উঠা দানবকে থামিয়ে দিতে অভ্যুত্থান হয়নি। উপরে উক্ত শিরোনামের নিচে লেখা হয়েছে, “এক কেজি চিকন চাল উৎপাদকের কাছ থেকে ভোক্তা পর্যন্ত পৌঁছাতে দাম বাড়ছে ৪০৪ শতাংশ। একইভাবে মোটা চালের দামও খুচরা পর্যায়ে এসে বেড়ে দাঁড়ায় ২৬০ শতাংশে। উৎপাদনকারী, দুই ধাপের পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতার হাত ঘুরে চালের দাম অস্বাভাবিক হারে বেড়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে উৎপাদন করা এক কেজি পেঁয়াজ রাজধানীতে যে দামে বিক্রি হয়, তা উৎপাদন খরচের চেয়ে ৩৬৫.১২ শতাংশ বেশি। একইভাবে আদা বিক্রি হচ্ছে ৩৩২ শতাংশ, আলু ১৯০ শতাংশ, লবণ ২০০ শতাংশ, হলুদ ৩১৬ শতাংশ এবং শুকনা মরিচ ১১০ শতাংশ বেশি দামে। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর মতিঝিলে ডিসিসিআই আয়োজিত এক সেমিনারে ‘ফুড ইনফ্লেশন অ্যান অ্যানালিসিস অন প্রাইস ডাইনামিকস অব এসেনশিয়াল কমোডিটিস’ শীর্ষক গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করা হয়। গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন ডিসিসিআইয়ের এক্সিকিউটিভ সেক্রেটারি একেএম আসাদুজ্জামান পাটওয়ারী। দেশের আট বিভাগে উৎপাদন খরচের তুলনায় কত বেশি দামে ১৬টি নিত্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে তা উঠে এসেছে এই গবেষণায়।” প্রশ্ন হলো, উৎপাদন খরচের চেয়ে তিন/চার শত গুণ বেশি দামে কেন ভোক্তারা পণ্য ক্রয় করতে বাধ্য হবেন? তাও আবার চাল ও চালের মতো নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর। আর্থনীতিক ব্যবস্থা কেন এমন করে গড়ে তোলা হবে না যে, নিত্যপণ্যের দাম উৎপাদন খরচের চেয়ে বড়জোর ১০ শতাংশের বেশি হবে না, কোনওভাবেই। সমাজতান্ত্রিক রাশিয়াতে তো রুটি ও মদের দাম ছিল সবচেয়ে কম এবং সেটা সমাজতান্ত্রিক রাশিয়া ভেঙে পড়ার আগে পর্যন্ত বজায় ছিল। এখন পুঁজিবাদ ফিরে আসার পরে অবশ্য এই দুটি পণ্যের দামই রাশিয়াতে বেড়ে গেছে ব্যাপক পরিমাণে, আমাদের চিকন চালের দামের মতো। পুঁজিবাদী পদ্ধতিতে ‘উৎপাদক থেকে ভোক্তার কাছে যেতে’ প্রতিটি পণ্যের এভাবে দাম বাড়ানোর একটি প্রবণতা আছে। পণ্য উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত নয়, কিন্তু পণ্য উৎপাদকের হাত থেকে ভোক্তার হাতে তোলে দিতে গিয়ে ফড়িয়া ব্যবসায়ীরা পণ্যসামগ্রীর দাম এমন অকল্পনীয় পরিমাণে বাড়িয়ে দিয়ে নিজের ধনসম্পত্তি বৃদ্ধি করে। বলতে গেলে কীছু না করেই বা কোনওরূপ উৎপাদন ক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত না হয়েই ফড়িয়া ব্যবসায়ী বিপুল সম্পদ সঞ্চয়ে সক্ষম হয়। তাছাড়া পরিবহণের ক্ষেত্রে আছে ঘাটে ঘাটে চাঁদাবাজি, এই চাঁদাবাজিও পণ্যের আরেক দফা দাম বেড়ে যাওয়ার একটি প্রত্যক্ষ কারণ। অভিজ্ঞমহলের ধারণা আর্থসামজিক ব্যবস্থাকে আমূল বদলাতে না পারলে কেবল সরকারি আদেশ জারি করে এইরূপ পণ্যমূল্যবৃদ্ধিকে কখনওই নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। অতিসম্প্রতি অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে ডিমের দাম নির্ধারণ করে দেওয়া হয়, কিন্তু ডিমসিন্ডিকেট সেটা মান্য করেনি। ব্যাপারটি জনসাধারণকে বুঝতে হবে।

নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha

কমেন্ট বক্স